সাহিত্যও সংস্কৃতি চেতনার বহিঃপ্রকাশ। এই প্রকাশ নানাভাবে নানা খাতে প্রবাহিত হয়।সাহিত্য সংস্কৃতির ধারা একদিনে গড়ে উঠে না। যুগ-যুগামত্মরের মিলন ওএকাত্মতা একে সার্থক ও সমম্বিয়ত করে। বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায় তা লক্ষ্য করাযায়। সাহিত্যের ক্ষেত্রে সিরাজগঞ্জের সম্পর্ক রংপুর, বগুড়া, পাবনা সদর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, যশোর ও খুলনার সংগে। যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য জনিতকারনেই এই যোগাযোগ চলছে বা চলে আসছে। অধুনা রাজশাহী ও নবাবগঞ্জের সাথে রেলসংযোগ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে। রংপুর, বগুড়া, পাবনা ও কুষ্টিয়ার লোকসাহিত্য, ফকিরী, মুর্শিদী, মারফতী গান-গজল, লোক কাহিনী প্রভৃতির মধ্যে একটাস্বতন্ত্র ভাব লক্ষ্য করা যায়। এই স্বতন্ত্রতা বরেন্দ্রভূমিরাজশাহী-নাটোরের প্রভাবমুক্ত। এই ভাবধারা পাশাপাশি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।রংপুর, বগুড়া, পাবনা, কুষ্টিয়া বলয়ের সাহিত্য সংস্কৃতি ভিন্ন গতিপ্রকৃতিবিশিষ্ট, ইসলামী চিমত্মা ধারার প্রতিফলন এতে বেশী স্পষ্টতর হয়। সাহিত্য, সংস্কৃতির এই প্রবাহ যদিও তর্কাতীত নয়, তবু দৃশ্যমান ও প্রকট স্বতন্ত্র ওবৈশিষ্ট্য স্বীকার্য সত্যরূপে প্রতীয়মান। সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যের মধেই সম্বনয়সাধন প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে ও থাকা দরকার। সিরাজগঞ্জের নাটকের স্থান পূর্বথেকেই উন্নত, এখনও এখানে নাটক, যাত্রা অভিনীত হয় বেশী। কলিকাতার বিখ্যাতনটরাজ ছবি বিশ্বাসের বাড়ী সিরাজগঞ্জ থানার বাগবাটি গ্রামে ছিল। প্রখ্যাতআইনজীবি অমিত্মম বাবু ছিলেন নাটক প্রিয়। এখনও বহু নাট্যকার বর্তমান।পূর্বের নাট্যশালা এখন পৌর মিলনায়তনে পরিবর্তিত হয়েছে। এখানেও নাটকমঞ্চস্থ হয়। অন্যান্য স্থানের মত সিরাজগঞ্জের কবিতা চর্চা অনেক বেশী। যখনইকোন পর্ব আসে, তখন কবিতার ঢল নামে। এখন ছন্দের প্রতি অনুরাগ নাই। আধুনিককবিতার প্রতি অনুরাগ বেশী। তদুপরি কবিতার অবোধ্য, দূর্বোধ্য ভাষা ও শব্দসংযোজনের প্রবণতা লক্ষ্যণীয় সিরাজগঞ্জের সাহিত্য সংস্কৃতির ধারা প্রবাহমানরাখতে চেষ্টা করছে শহর ও পল্লীর বিভিন্ন সাহিত্য-পত্র পত্রিকা, সাময়িকী এবংপ্রবীণ ও তরুন কবি সাহিত্যিকগণ ও শিল্প সাহিত্য সংবাদ ও গোষ্ঠী। তন্মধ্যেযমুনা সাহিত্য গোষ্ঠী, উদিচী, বাস্কার শিল্পী চক্রের নাম উল্লেখযোগ্য।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস